তৈরি হয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি, রাজধানীর ৪৫ ভাগ মানুষের দেহেই। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
আক্রান্তদের ৮২ ভাগেরই কোন লক্ষণ ছিল না। জানা যাই যে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ও জিন রূপান্তর নিয়ে গবেষণার তথ্য জানানো হয়। বিশ্ব থমকে গেছে করোনা মহামারিতে। বাংলাদেশও রক্ষা পায়নি তার ছোবল থেকে। ২৬ মার্চ থেকে সীমিত আকারের লকডাউন বেড়েছে কয়েক মাসে। রাজধানী ঢাকার প্রায় অর্ধেক মানুষের মানুষের দেহে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি। আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি'র যৌথ জরিপে উঠে এসেছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত প্রতি ১০ জনে একজন সংক্রমিত হয়েছেন। যার ৮২ ভাগের কোন লক্ষণ ছিল না। গবেষণায় ঢাকার ২৫টি ওয়ার্ডের ১২ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ভাগের দেহে। জানা গেছে যে গবেষকরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ও টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে এসব তথ্য কাজে লাগবে।এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আবারো আশ্বাস দেন, সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার। আরও জানা যাই যে আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি'র যৌথ জরিপের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএস আইডি এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
এদিকে শোনা যাচ্ছে যে ঢাকার ৪৫ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এ কথা ১৮ এপ্রিল থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এ গবেষণার জন্য রাজধানীর মোট তিন হাজার ২২৭টি পরিবারের মাঝে জরিপ চালানো হয়। দ্য বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং ইউএসএআইডি এই জরিপটিকে সমর্থন জানিয়েছে। গত ১০ আগস্ট এই প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত অংশ প্রকাশিত হয়েছিল। জরিপ চলাকালে ঢাকা শহরের ২৫ ওয়ার্ড থেকে ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৯.৮ শতাংশ মানুষের বা প্রায় প্রতি দশজনের মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত হয় বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ২৪ শতাংশ মানুষের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১৫ শতাংশের বয়স ছিল ১৫-১৯ বছরের মধ্যে। এসব পরিবারের ২১১ সদস্যের করোনার উপসর্গ ছিল। তাদের মধ্যে ১৯৯টির আর-পিসিআরে পরীক্ষা করা হয় এবং ৩০ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়। বিপরীতে কোনো উপসর্গ নেই এমন ৫৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় আট শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়। জানা গেছে যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
No comments:
Post a Comment